অনিক স্টিল ফার্নিচারের মালিকের বিরুদ্ধে ভোক্তার অভিযোগ- রাজশাহী

দৈনিক বাংলার বিপ্লব, নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকার ‘অনিক স্টিল ফার্নিচার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা জনাব মুমিত হাসান (ব্রাইট) গত ১০ জানুয়ারি ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৯,৭০০ টাকায় একটি বড় সাইজের মালয়েশিয়ান প্রসেস কাঠের ড্রেসিং টেবিল ক্রয় করেন। ক্যাশ মেমোতে উল্লেখ ছিল ১০ বছরের গ্যারান্টি ও ফ্রি হোম সার্ভিসের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ড্রেসিং টেবিলটি পোকায় আক্রান্ত হয়ে যায়। ক্রেতা জনাব মুমিত হাসান একাধিকবার দোকানে যোগাযোগ করলেও শুরুতে কর্মচারীরা বলেন, মালিক ছাড়া এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তীতে মালিক জনাব মোঃ আসলাম ও তার ছেলে জনাব অনিক বলেন, তিনি ও তার দোকানের ম্যানেজাররা শুধুমাত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে গ্যারান্টি উল্লেখ করেন, বাস্তবে কোনো গ্যারান্টি প্রদান করেন না। এরপর সাময়িক পরিস্থিতি সামাল দিতে  মালিক পক্ষ একটি ভ্যান চালক পাঠিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মুমিত হাসানের বাসা উপশহর থেকে ড্রেসিং টেবিলটি নিয়ে যায়। কিন্তু এরপর থেকে মোঃ আসলাম আর ফোন রিসিভ করেননি এবং এখনো ফার্নিচারটি ফেরত দেননি। দোকানে গিয়েও মালিকের দেখা পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরা জানান, তিনি দোকানে খুব কমই আসেন। এই প্রতারণার ঘটনায়  জনাব মুমিত হাসান ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন। লিখিত অভিযোগ পত্রটি জমা নিয়েছেন উক্ত দপ্তরের অফিস সহকারী- জনাবা হোসনে আরা এবং পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মুমিত হাসান তার মুঠোফোনে রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনাব ফজলে এলাহী -সহকারী পরিচালক (মেট্রো) স্যারের সাথে কথা বলেন ও তিনি জানান “ আমরা আপনার অভিযোগটি পর্যবেক্ষন করেছি এবং খুব দ্রুতই আমরা নোটিশের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।”

ভুক্তভোগী মুমিত হাসান বলেন, “আমি বিশ্বাস করে এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গ্যারান্টিযুক্ত ফার্নিচার কিনেছিলাম। এখন তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি চাই, প্রশাসন এই প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক এবং সাধারণ মানুষ যেন এভাবে প্রতারিত না হয়।” এ ঘটনায় ভোক্তাদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *