
সাইফুল ইসলাম তুহিন স্টাফ রিপোর্টার: (৫ই আগষ্ট) এর পর সারা-দেশে শুরু হয়েছে একের পর এক লুটপাট ডাকাতির নৈরাজ ভালো নেই হাতিয়া দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা।
পহেলা ফেব্রুয়ারী আনুমানিক রাত ২টার দিকে নোয়াখালী জেলার বিছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার ১০ নং জাহাজমারা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত ০৭নং ওয়ার্ড এর আব্দুল ওহাব মেম্বার এর ঘর লুট করে লাপাত্তা ডাকাত বাহিনী। অন্য দুই বাড়িতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি তারা।
প্রথমে জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ডুকে ঘুমের ক্যমিকাল ব্যবহার করে। তার পর সকল রুমের দরজা বন্ধ করে টেবিলে থাকা ছাবি পেয়ে লুটে নেন স্বর্ণের চেইন, নেকলেস, দুই জোড়া কানের ফুল,২টি হাতের রুলি সহ তিনটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ২টা বাটম মোবাইল নগদ দশ হাজার টাকা নিয়ে উধাও ডাকাত বাহিনী। সর্বশেষ ফ্রিজে থাকা আপেল-কমলা মিষ্টি খেয়ে ঘরের ভিতর গান গাইতে থাকে ডিজিটাল ডাকাত । এই দিকে ঘুমে মগ্ন পরিবারের সদস্যরা।
ডাকাত বাহিনীর গানের শব্দ, অস্রের আওয়াজ শুনে আব্দুল ওহাব মেম্বার এর ঘুম ভাঙলেও দরজা বন্ধ থাকায় কাউকে দেখেনি তবে মৃত্যুর ভয়ে চুপ চিলেন তিনি।
ডাকাত বাহিনী যাওয়ার সময় খোলা রেখেছেন একটি রুমের দরজা। সকাল হতে নাহতে শুরু হয় ভুক্তভোগীদের আহাজারি। আতঙ্কে আছে এলাকার বাসিন্দারা।
ভুক্তভুগী মেয়ের জামাই মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, দুইটা রুলি, দুই জোড়া কানের ঝুমকা,তিনটা অ্যান্ড্রয়েড সেট,দু’টা বাটম সেট, জামাকাপড়, আমরা কাউকে দেখিনি চিনবো কিভাবে! আমাদের গায়েও আঘাত করেনি
ডাকাতির খবর শুনে ছুটে আসেন এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষজন।
দেখতে আসা হারুন অর রশীদ কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, রসিঘরের পশ্চিম পাশের জানালা কেটে ডাকাত ডুকে স্বর্ণ অলংকার সহ, মোবাইল হইতে যা আছে পাঞ্জাবি সহ সব কিছু নিয়ে গেছে, তিনি আরও বলেন, আমরা সব গুরে দেখেছি, এখানে আমাদের দেশের লোক ছাড়া আগলা কেউ এই কাজ করতে পারে না।
উপস্থিত থাকা ডাক্তার দিদার উদ্দিন কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পাকের ঘরের গ্রীল কেটে ভিতরে ডুকি অস্র দেখাই স্বর্ণ অলংকার, টাকা পয়সা যা চিলো সর্বশেষ পাঞ্জাবি সহ সব নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন,যে অবস্থা দেশের অরাজকতা বাড়ছে প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্ত করে দোষীদে বিচার করা হউক।
(২রা ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক বিকাল ৫টার সময় ভুক্তভুগীর ছেলে রাহাদ উদ্দিন বাদি হয়ে জাহাজমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেন।
ঘটনাস্থলে জাহাজমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাইনুল ইসলাম তদন্ত করে।পুলিশের তদন্ত শেষে প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তুহিন তদন্ত পুলিশ এসআই মাইনুল ইসলাম কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,
জানালার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছে মর্মে বাদী জানায়। আমি গোপনে পুরা জাহাজমারা এলাকায় চিহ্নিত কোনো চোর/ ডাকাত আছে কিনা এই ব্যাপারে তথ্য নিতেছি, এলাকার বিভিন্ন লোক মারফতে।