আলফাজ দেওয়ান, নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অন্যতম অন-লাইন মিডিয়া ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Zia Cyber Force এর সঠিক সংক্ষিপ্ত তথ্য।
দীর্ঘ ১০ বছর পথ চলায় ভাঙ্গা গড়ার খেলা।
প্রথম প্রধান সমন্বয়ক রেজোয়ানুল হক শোভন।
প্রথম সভাপতি ব্যারিস্টার পারভেজ।
প্রতিষ্ঠাতা :
ফাইজাল এস খান
সামির রায়হান (ব্ল্যাক ফাইটার)
কাউসার রাইয়ান (মীর্জা সাব)
সাজিদ মাহমুদ (আমি বিদ্রোহী)
এককভাবে কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়না, জিয়া সাইবার ফোর্স ও কারো একক চিন্তা চেতনার বহিঃপ্রকাশ নয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ আদর্শকে ডিজিটালি প্রসার ও দু:সময়ে দলের মিডিয়া হিসেবে আত্নপ্রকাশ ঘটানোর প্রয়াসে এক বিন্দুতে ৪টি মেধাবী যুবকের সময় শ্রম ও সৃজনশীল চিন্তার ধারক ও বাহক হিসেবে গঠিত হয়েছিল জিয়া সাইবার ফোর্স।
এবং সেই হতে, -
প্রতিষ্ঠাকাল ৫ই মার্চ ২০১৫ হতে অনলাইন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Zia Cyber Force ধারাবাহিকতায় ১০ বছর চলমান।
সংগঠনটির কালো অধ্যায় ও বিভাজন:-
হঠাৎ তাবিথ আওয়ালের প্রচারনা হবেনা বলে বাধা দেয় তৎকালীন সমন্বয়ক জনাব 'ওয়াহিদ উন নবী'
কারন তাবিথ আওয়াল নির্বাচনী প্রচারনা বাবদ যদি ফান্ডিং করে তাহলেই জিয়া সাইবার ফোর্স প্রচারনা করবে অন্যথায় নয়।
কিন্তু জিয়া সাইবার ফোর্স যেহেতু একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাই এখানে দলীর প্রচারনায় কোন প্রকার আর্থিক সমীকরন থাকার কথা নয়।
এবং এক পর্যায়ে দুটি অবস্থান সৃষ্টি হয় এক পক্ষ তাবিথ আওয়ালের প্রচারনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে জিয়া সাইবার ফোর্স কাজ করবে বলে জানায়।
এবং ২য় পক্ষ তাবিথ আওয়ালের কাছে ফান্ডিং দাবী করবে এবং ফান্ডিং না পেলে ফ্রি প্রচারনা করবে না বলে অবস্থান নেয়।
অবশেষ, তুমুল দ্বন্দ্ব তর্ক যুক্তির এক পর্যায়ে জিয়া সাইবার ফোর্স বিভাজিত হয়ে নভেম্বর ২০২০ ২য় পক্ষের কিছু সদস্য পদত্যাগ করে।
এবং সমগ্র বিষয়টি সংগঠনের সাবেক চেয়ারমেন ফাইজাল এস খানকে জানানো হলে, সে আর রাজনীতি করবেনা এবং এসব ঝামেলায় থাকতে চায় না তাছাড়া এই দল আর ক্ষমতায় আসবেনা শুধু শুধু এসব করে হামলা মামলায় জড়ানোর কোন মানে হয়না বলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রোষানোল এর ভয়ে গা বাচিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
এইদিকে প্রথম পক্ষটি সংগঠনের কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার মনস্থির করে এবং যার ধারাবাহিক পথ চলায় নিরলস ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি কে এম হারুন, ও সংগঠনটির অন্যমত প্রতিষ্ঠাতা সামির রায়হান এবং সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় সাথে ছিলেন প্রধান সমন্বয়ক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হারুনুর রশিদ ভুইয়া।
এছাড়া দীর্ঘ পথ চলায় সংগঠনটির হাল ধরে জেলা - উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা কর্মী। যারা অনেকেই জেল জুলুম ও হাসিনার পেটুয়া বাহিনীর জুলুমের শিকার হয়।
পক্ষান্তরে ৫ই আগস্ট হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে, - দু:সময়ে লেজ গুটিয়ে নেয়া সুবিধাবাধী মহল গুলো আবার সোচ্চার হয়, জিয়া সাইবার ফোর্সে পুন:রায় নিজেদের প্রতিস্থাপনের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়।
এবং সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা কর্মীর নিন্দা ও রোষানোলে ব্যর্থ হয়ে নিজের মত করে পুন:রায় জিয়া সাইবার ফোর্সের নামে আরো একটি সংগঠন তৈরী করে।
এক কথায় সুবিধাবাদী মহল ফাইজাল এস খানের নেতৃত্বে পুন:রায় জিয়া সাইবার ফোর্স সংগঠনকে হাইজেক করার চেষ্টা করলে সংগঠনটির বর্তমান কমিটির নেতা কর্মীদের তীব্র প্রতিবাদে নামে কিছুটা পরিবর্তন অথ্যাৎ জিয়া সাইবার ফোর্স এর সাথে 'জেড সি এফ' সংযোজন করে একটি কমিটি প্রকাশ করে।
অথচ একটি সংগঠন বর্তমান থাকা অবস্থায় আরো একটি কমিটি দেয়া নেহায়েৎ জালিয়াতির সামিল।
হুট করে এসে দুধের মাছির মত সুবিধা ভোগের চেষ্টা করা, বিএনপিকে কুলষিত করতে হাসিনার তৈরী আসল বিএনপি পলিসির মত, জিয়া সাইবার ফোর্স থেকে জিয়া সাইবার ফোর্স - জেড সি এফ তৈরি করা উদ্দেশ্যপ্রবন ও জাতীয়তাবাদ শক্তি ও আদর্শ কে প্রশ্নবিদ্ধ করার সামিল।
একটি জাতীয়তাবাদী অনলাইন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে দৃশ্যমান গ্রুপিং এখন প্রকট।
এর একটি স্থায়ী সমাধান না আসলে জাতীয়তাবাদ শক্তির ব্যপক ক্ষতি হয়ে যাবে বলে মনে করি।
দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উচিৎ এর একটি সমাধান করা অথবা উভয় পক্ষের উচিৎ এদিক ওদিক করে হলেও দল ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সমঝোতা অথবা জটিলতা নিরসন করা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ সুমন চৌধুরী
মোবাইল: +৮৮ ০১৬৭০৫৩৯৯৩৫
জিমেইল: dainikbanglarbiplob@gmail
ওয়েবসাইট: dainikbanglarbiplob.com