জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে আলমডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইফতার মাহফিল

সাইফুল ইসলাম তুহিন স্টাফ রিপোর্টা : আলমডাঙ্গা উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এক বিশেষ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। পবিত্র রমজানের এই মহিমান্বিত সময়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

ইফতার মাহফিলটি আলমডাঙ্গা উপজেলা সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সংগঠনের নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি সাম্য, ন্যায়বিচার ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা এই মাহফিলের মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করছি এবং তাদের আদর্শ লালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।”

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন এবং বলেন, “যে কোনো বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা জোগায়।”

আলোচনা শেষে উপস্থিত সকলে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় এক ধর্মীয় আলেম, যিনি মাহফিলের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, “শহীদদের জন্য দোয়া করা আমাদের কর্তব্য। তারা ন্যায় ও সাম্যের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, আমরা যেন তাদের আদর্শ ভুলে না যাই।”

বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের কেবল একাডেমিক শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, বরং তাদের সামাজিক দায়িত্বও পালন করতে হবে। বৈষম্য, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তরুণদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তারা সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং সবাইকে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, শুধু ইফতার মাহফিল নয়, আগামী দিনগুলোতেও তারা শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন সামাজিক ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তারা সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান।

এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান কেবল স্মরণসভা নয়, বরং তা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস সচেতনতা ও সমাজ পরিবর্তনের প্রেরণা জাগিয়ে তোলে। তারা ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে এ ধরনের কার্যক্রম আয়োজনের আহ্বান জানান।

শেষে অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে ইফতার করেন এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *