
মো: আরিফ রাব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার: ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সালাত (নামাজ)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
দেড় শতাধিক আর্টিকেল নিয়ে লেখক মোহাম্মদ কামাল হোসেন লিখেছেন ‘সালাত ও বিজ্ঞান’। বইটিতে কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির মতামত ও কিছু গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে।
আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতালাভের মাধ্যমে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার প্রিয়ভাজন হওয়া- নামাজের এ হচ্ছে একটি দিক। পক্ষান্তরে শারীরিক ও বৈজ্ঞানিক বিবিধ উপকারও নিহিত রয়েছে নামাজে। যোগব্যায়াম, রিফ্লেক্সোলজি, ধ্যান ও ব্যায়ামের সঙ্গে সালাতের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে । নামাজ হচ্ছে হিকমাহপূর্ণ এক অলৌকিক তরবিয়ত-ব্যবস্থা। নামাজের মাধ্যমেই ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা, একাগ্রতা, আত্মশুদ্ধি ও আত্মবিলোপের মত মহৎ গুণাবলির পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে, যা বান্দাকে পৌঁছে দেয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার সান্নিধ্যের স্বর্ণশিখরে।
কোরআন হাদিসের আলোকে সালাত কি এবং কিভাবে উত্তমরূপে সালাত কায়েম করা যাবে তার আলোচনা করা হয়েছে। ছোট-বড় সব মিলিয়ে ১৫০ টিরও বেশি আর্টিকেল লিখা হয়েছে এই বইয়ে।
নামাজ মূলত মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা প্রদত্ত এক মহান নিআমত। রাব্বুল আলামীনের এক বিশেষ উপহার, যা বান্দাকে সকল প্রকার অশ্লীলতা, পাপাচার, প্রবৃত্তিপূজা, ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবনের ভোগ-বিলাসের অন্ধ মোহ থেকে মুক্ত করে পূত-পবিত্র ও উন্নত এক আদর্শ জীবনের অধিকারী বানিয়ে দেয়। বিকশিত করে তোলে তার ভেতরের সকল সুকুমারবৃত্তি। তার জন্য উম্মুক্ত ও সহজ করে দেয় চিরস্থায়ী জান্নাতের সুপ্রশস্ত দুয়ার। সে পথেই সে চলতে থাকে।