সালাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ব্যবসায়ী সালাম হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে পুলিশকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার সকালে স্থানীয় হাসনগঞ্জ-চকচকিয়া বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এ আল্টিমেটাম দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত সালামের মেয়ে ফাতেমা আক্তার।

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন—সালামের স্ত্রী বাছাতন নেছা, বৃদ্ধা মা ছালেহা খাতুন, প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, মাজহারুল হক খান, ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন মেযবাহ, স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন মিয়া, সেক্রেটারি সানোয়ার হোসেনসহ প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ।

ফাতেমা আক্তার বলেন, আমার বাবার খুনিদের দেখতে চাই; আমি এতিম সন্তান, বাবার খুনিদের ফাঁসি চাই। হত্যার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কেনো ক্লু খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ? আগামী সাত দিনের মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার না হলে, পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না। আমরা ভয়-আতঙ্কে আছি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারে আতঙ্ক প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। অভিভাবকরা আতঙ্কে আছেন, কারণ আসামিরা এখনও ধরা পড়েনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যার পরই দোকানপাট বন্ধ করে চলে যাচ্ছেন। দুর্গম এলাকায় রাতে চলাফেরা করতে ভয় লাগে। পারতপক্ষে কেউ রাতে ঘর থেকে বের হন না।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। এটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি, শিগগিরই রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সময় বেঁধে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,বাদীপক্ষ চাইলে পুলিশের যেকোনো সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

গত ২২ জানুয়ারি উপজেলার চকচকিয়া শ্রীপুর গ্রামে মৃত আমির আলীর ছেলে ব্যবসায়ী সালামকে জবাই করে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা মরদেহ লেবু বাগানে ফেলে যায়। এ ঘটনায় সালামের স্ত্রী বাছাতন নেছা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রাথমিকভাবে মামলাটি তদন্ত করেন সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) প্রভাষ রায়। পরে তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া।

এখন দেখার বিষয়, পুলিশ সাত দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারে কি না!

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *