মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশু

আহাদ ইসলাম পলক, স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বাংলার বিপ্লব: মাগুরায়- বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার ৭ বছরের শিশু। ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল এর পরদিন বাড়িতে যেতে। বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাইরে গিয়েছিল।

মেয়েটা বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল এককোনায়। দুলাভাইও ছিল রুমে। বড়বোন ভেবেছিল তার স্বামী যেহেতু আছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।

দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে লাইট নিভানো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। তড়িঘরি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে।
বড় বোন বুঝতে পারেনা কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে। অনেকক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।

বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয়, হলে না-কি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের।
তারপর বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন তার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে। কোনরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে।

হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু। বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কত হবে? সাত কিংবা আট।

যৌনতার কিছুই বুঝে না, পুতুল নিয়ে খেলার বয়স তার।

মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি। জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতি যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা।

তৌহিদী জনতা এখন এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দিবে? তার তো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি।
ওড়না পড়ার বয়স হলে নাহয় ওড়নার দোহাই দিয়ে দায়সারা যেত।

তারা কি এবারেও ধ* র্ষ কের পক্ষ নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে আনবে?

মেয়ের মা এবং বোন মিলেই এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালে। তাদেরকে সাহায্য করতে কোন তৌহিদী জনতা আসেনি, আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন।

বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। ব্যথায় একটু পর পর ককিয়ে উঠতেছে শুধু। বড় বোন একপাশে হাতে ধরে দাড়িয়ে আছে।

মেয়েটার মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আশ্বাস দিচ্ছে – সব ঠিক হয়ে যাবে মা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *