
ঘুরে ফিরে, মুক্ত পাখির উপমায়
আর আমার লেখা হয় না।
ঐ যে ছায়ার ন্যায় প্রিয়সী এসেছে কিংবা;
পদ্মিনী নারীর ন্যায় সুবাসিত শরীরের গন্ধ এবং
সুগঠিত হাতের আংগুল।
বলো কি করে দেখা আর লেখা হবে?
কল্পনার নৈঃস্বর্গীক দৃশ্যবোধের
দারুন দুর্ভিক্ষ আজ আমাদের গৃহে।
আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধের নির্মম ধর্ষিতা এবং
সন্তানহারা মাকে যখন এখনও দেখি,
রাস্তার পাশে, পরিত্যাক্ত আসন জুড়ে বসে,
ভাঙ্গে সভ্যতা নির্মাণের ইট পাথর।
আহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন
ভিক্ষা পাত্র নিয়ে ভিক্ষা চেয়ে ফিরে
নগরে বন্ধরে। তখন;
আমি ওদের ডেকে ডেকে বলি,
ওরে দুরমুর্খেরা, তোরা গাজী হইলি কেন?
তোরা যদি শহীদ হতিস, তা’হলেওতো পেতিস
কিছু টাটকা গোলাপ।
কিভাবে সরাব আর সাকীতে মজে,
অদৃশ্য ঠোঁটে দেবো, নেবো কাক্ষিত……….